পাঁচ দশক পরেও পাকা সেতুর স্বপ্ন পূরণ হয় নি : আনন্দনগরের মানুষের ভরসা বাঁশের সেতু

27th August 2021 8:04 am হুগলী
পাঁচ দশক পরেও পাকা সেতুর স্বপ্ন পূরণ হয় নি : আনন্দনগরের মানুষের ভরসা বাঁশের সেতু


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  স্বাধীনতার ৭৫ বছর, কিন্তু স্বাধীনতার আনন্দ পেলেও অনেকটাই স্থলভাগ ও জলভাগ হয়ে গেছে তাদের জীবন। তাদের  স্বপ্ন,আর সেই স্বপ্ন প্রতিনিয়ত দেখেন সিঙ্গুর  আনন্দনগর গ্রামপঞ্চায়েতের পাওনান এলাকার ঘোষালপুর হাঁড়িকাটা গ্রামের মানুষ। এই গ্রামে প্রায় তিন হাজার মানুষের বসবাস। যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা এই বাঁশের  ব্রীজ । মিলেছে বহু নেতার প্রতিশ্রুতি। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কথায় আছে আশায় মরে চাষা। তেমনটাই হয়েছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের। কারন দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে তারা আশা করে গেছে একটা পাকা পুক্ত ব্রীজের। ৫০ বছরেও হয়নি ব্রীজ। তাই দুপারের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল বাঁশের তৈরী  ব্রীজ। আর এই ব্রীজ সারা বছর মানুষের নিরাপত্তা দেয়। যাতায়াতের কাজে লাগে তা নয়। এক প্রকার জীবনকে হাতে করে এখানকার ছাত্র থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধ -বৃদ্ধাদের দিন যাপন। দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে একাধিক সময়, একাধিক মানুষ। কিন্তু তবু তারা স্বপ্ন দেখে বাঁশের ব্রীজ হয়তো কোন একদিন কংক্রিটের আকার নেবে। কিন্তু সেটা কবে। সেটা নিয়ে চিন্তায় গ্রামের মানুষ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।